Wednesday, December 11, 2024


সৈয়দপুরে খানাখন্দেভরা রাস্তায় পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে। ক্রাইম আওয়ার

রাজীব রেজওয়ান, সৈয়দপুর প্রতিনিধিঃ-সৈয়দপুরেখানাখন্দে ভরা রাস্তায়, পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে। কোন এক কালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সবাই পায় সোনার খনি আর আমি…

By স্টাফ রিপোর্টার , in আমার দেশ , at May 31, 2021

রাজীব রেজওয়ান, সৈয়দপুর প্রতিনিধিঃ-সৈয়দপুরে
খানাখন্দে ভরা রাস্তায়, পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে।

কোন এক কালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পেলাম চোরের খোনি। কথাটি যে বহুগুনে বাস্তবতা বহন তার প্রমাণ নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের এই শেরে বাংলা সড়কটি। মাত্র কয়েক বছর আগে যে রাস্তা অর্ধকোটিরও বেশি টাকা দিয়ে সংস্কার করা হয়েছিল সেটির আজ করুন অবস্থা। রাস্তার বেহাল দশার এই চিত্রই জানান দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু ভুল বলেননি সেদিন, কারন এই রাস্তা সংস্কারে কত বাজেট ছিলো আর চোর নামক দুর্নীতিবাজরা কতইবা খরচ করেছে তা রাস্তার মাঝে এই ছোট ছোট টিউমার আকৃতির গর্ত জানান দিচ্ছে।

সৈয়দপুর শহরের অন্যতম তামান্না মোড় থেকে বাইপাস ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত প্রধান এই সড়ক শেরে বাংলা রোড সংস্কারের দুই বছরের মধ্যেই পথচারীসহ যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃস্টি হয়ে যান চলাচলে মরনফাঁদ হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তি সত্বেও প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে কয়েক হাজার লোকজনকে।আর গর্ভবতী কোন মেয়েকে এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেলে রাস্তার খানাখন্দে পড়ে ডিলেভেরী যেনো রাস্তায় হওয়ার উপক্রম।

সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের গাফিলতিতেই সড়কের এ অবস্থা বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ব্যস্ততম এই সড়কটির দৈর্ঘ প্রায় ৫ কিলোমিটার। ইতোমধ্যে সড়কের অধিকাংশ অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে।
অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে রয়েছে ঐতিহাসিক চিনি মসজিদ, সৈয়দপুর থানা, রেলওয়ে স্টেশন, জেলার একমাত্র সচল প্রেক্ষাগৃহ তামান্না সিনেমা হল, ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান শিল্প সাহিত্য সংসদ, অত্যাধুনিক সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেট, সৈয়দপুর প্লাজা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ বহু স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বর্তমানে শহরের মূল অংশ থেকে গোলাহাট, ইসলামবাগ, রসুলপুর ও ওয়াপদা মোড় হয় জেলা সদর যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম ওই সড়কের নাম শুনলে রিকশা, ভ্যান বা কোনো যানবাহন চালক যেতে রাজি হয় না। দু একজন যেতে রাজি হলেও দ্বিগুণ বা তিনগুণ ভাড়া দাবি করে চালকরা, এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় অসংখ্য গরীব দুঃখী ও অসহায় মানুষের।

রাস্তাটি কবে ঠিক করা হবে, কবে শান্তিতে চলাচল করতে পারবে শহরবাসী তা জানে না। তবে দ্রুত সংস্কারে আশায় আজও কতৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে আছে এ অঞ্চলের হাজারো মানুষ।