শশীভুষনে জামাল চৌকিদার এর কলেজ পরুয়া মেয়ে সুফিয়া হত্যা মামলার দ্বায় কার মাথায় জনমনে নানা প্রশ্ন।
চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ-শশীভুষনে জামাল চৌকিদার এর কলেজ পরুয়া মেয়ে সুফিয়া হত্যা মামলার দ্বায় কার মাথায় এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখাদিয়েছে।অনুসন্ধানে…
চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ-শশীভুষনে জামাল চৌকিদার এর কলেজ পরুয়া মেয়ে সুফিয়া হত্যা মামলার দ্বায় কার মাথায় এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখাদিয়েছে।অনুসন্ধানে জানাজায় বেগম রহিমা ইসলাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাএী সুফিয়াকে (১৭) গত ১৫/০৬/২০২১ ইং তারিখে হত্যা করা হয়েছে মর্মে সুফিয়ার পিতা জামাল উদ্দিন চৌকিদার একটি হত্যা মামলা করেন । শশীভুষন থানার মামলা নং ৬২/১৩, ধারা ১০৯/৩০২/৩৭৬ পিঃ সিঃ।এই মামলায় আসামী করা হয় একই বাড়ির জামাল উদ্দিন চৌকিদার এর বড় ভাই আবদুল মতিন চৌকিদার এর জামাতা সালাউদ্দিন নোমান সহ তার পরিবারের সদস্যদের । এই মামলাটি গত১৪/ ০৮/২০১৪ ইং তারিখে সি আই ডি তে ন্যাস্ত হলে মুল রহস্য বেরিয়ে আসে।সি আইডি’র তদন্ত কর্মকর্তা তার তদন্ত প্রতিবেদনের এক জায়গায় উল্লেখ করেন তদন্তকালে ইং১৭/০৬/২০১৩ তারিখে স্হানীয় পএিকা ভোরের আলো পর্যালোচনা, গোপন ও প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া এক প্রর্যায় প্রকাশ পায় গত ২০/০৫/২০১৩ তারিখে বিকাল অনুমান ৫.০০টার সময় কেফায়েতুল্লাহ রাইহান সন্দেহজনক হত্যা হইলে (মাওলানা নোমান এর ছেলে) পরবর্তীেতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গলাটিপে হত্যা আসিলে ভিকটিমের বাবা মাওলানা নোমান বাদী হয়ে অএ মামলার বাদী (সুফিয়া হত্যার) ,স্ত্রী ছেলেদেরসহ অএ মামলার সাক্ষীদের নামে মামলা করার প্রস্তুতি নিলে অএ মামলার বাদী ও সাক্ষীরা মামলার দ্বায় হইতে রেহাই পাওয়ার জন্য এবং কাউন্টার মামলা সৃষ্টি করার জন্য গত ১৫/০৬/২০১৩ তারিখে সময় অনুমান সন্ধ্যা ০৭.০০টা হইতে০৮.০০মিনিটের মধ্যে কৌশলে অএ মামলার বাদীর ( জামাল চৌকিদার এর) দীর্ঘদিনের এ্যাজমা রোগী কলেজ পরুয়া মেয়ে সুফিয়াকে (১৭) হত্যা করে ঘটনাস্থলে রেখে দোষারোপ করিতে পারে। আমার নিকট তদন্তধীন শশীভুষন থানার মামলা নং ২ তারিখ০২/০৭/২০১৩ (রাইহান হত্যা মামলা) ইং ধারা ৩০২/২০১/৫০৬/৩৪ পিসি এর এজহার নামীয় ১নং আসামী মোস্তফা কে ( অএ মামলার ভিকটিম এর বড় ভাই) গ্রেফতার করিয়া রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় সালাউদ্দিন নোমান ও তাহার ভায়রা জাহের,হোসেন তাহাদের নামে মামলা করার প্রস্তুতি নিলে মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এবং মামলা সৃষ্টি করার জন্য তাহার বাবা মা সহ অএ মামলার সাক্ষীরা তাহার বোন সুফিয়াকে হত্যা করিয়া সাক্ষী আব্বাসউদ্দীনের সহযোগিতায় সুফিয়ার লাস ঘটনাস্থল রেখে আসামীদের দোষারোপ করা হয় (অর্থাৎ মাওলানা সালাউদ্দীন নোমান গংদের দোষারোপ করা হয়)। সি আই ডি আরো বলেন অএ মামলার এজহার নামীয় কতিপয় সাক্ষীসহ ঘটনাস্হলের আশপাশ এলাকায় নিরপেক্ষ সাক্ষী গোপন ও প্রকাশ্যে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত করিয়া এজহার নামীয় আসামীদের ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিষয় আমার তদন্তকালে প্রাথমিকভাবে প্রমান করা সম্ভব হয়নাই এবং সি আইডি পরবর্তীতে আসামীদেরকে (সালাউদ্দিন নোমান গং কে ) উক্ত মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে চুড়ান্ত রিপোর্ট সত্য নং ৩২তারিখ ৩১/১২/২০১৪ ইং ধারা ১০৯/৩০২/পিসি দাখিল করে। যেহেতু সি আইডির তদন্তে সুফিয়ার বড় ভাই মোস্তফা হত্যার কথা স্বীকার করে তাই তাদের বিরুদ্ধে কোন অজনা কারনে আইনি ব্যাবস্হা নেয়া হয়নি এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে তাহলে সুফিয়া হত্যা মামলার দ্বায় কার মাথায় ??? উল্লেখ্য গত ০২/০৯/২০২১ ইং তারিখে মাওলানা সালাউদ্দীন নোমান এর ছেলে কেফায়েতুল্লাহ রাইহান হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত জামাল চৌকিদার গং কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।চলবে,,,,