Thursday, November 21, 2024


শশীভূষনের চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলার চার আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ।

ভোলা প্রতিনিধিঃ শশীভুষনের চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলার চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত। দণ্ড প্রাপ্ত…

By স্টাফ রিপোর্টার , in Uncategorized , at September 2, 2021

ভোলা প্রতিনিধিঃ শশীভুষনের চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলার চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত। দণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন শশিভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন চৌকিদার তার বড় ছেলে মোস্তফা এবং ছোট ছেলে ইকবাল ও ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজীর আলি গাজীর ছেলে জয়নাল আবেদিন গাজী। বৃহস্পতিবার (২সেপ্টেম্বর) বেলা ১২.৩৩ ঘটিকার ময় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ হত্যা মামলার রায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারদণ্ড ও প্রত্যেককে একলক্ষ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ ঘোষনা করেন। আদালতের রায় সূত্রে জানা গেছে, দণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা ৪ গন্ডা/ অর্থাৎ  ৩২ শতাংশ জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২০১৩ সালের মে মাসের ২০ তারিখ সোমবার বিকাল ৫টায় পরিকল্পীতভাবে একই বাড়ির বাসীন্দা মাওলানা আবদুল্লাহ আল নোমানের ১০বছরের নাবালক ছেলে কেফায়েত উল্লাহ রায়হানকে চৌকিদার বাড়িতে অবস্থিত ধান খোলা মাঠের পাশে গলা টিপে হত্যা করে। আসামরিা এ হত্যাকাণ্ড অন্যদিকে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে লুঙ্গি দিয়ে প্যাচিয়ে বাঁশের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে শিশু রায়হানের মরদেহ। পরবর্তীতে নিহত রায়হানের পিতা মাওলানা নোমান ২০১৩ সালের জুন মাসের ১৫ তারিখে চরফ্যাশন জুডিশিয়াল কোর্টে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর্যালোচনা শেষে বিজ্ঞ আদালত এই রায় দেন। অএ মামলায় আসামীগন ইতো পূর্বে জেল হাজতে ছিলেন। উক্ত ঘটনার বিবরনের জানাজায়  চৌকিদার বাড়ির মাওলানা আবদুল মতিন শেখ এর কোন পুএ সন্তান না থাকায় তিনি তার জীবদ্দশায় জমি জমা তার কন্যাদের নামে লিখে দেন। এতে  মাওলানা আবদুল মতিন শেখ এর ছোট ভাই জামাল উদ্দিন চৌকিদার তার পরিবারের সদস্যদের উপর ক্ষিপ্ত হন, কারন মতিন শেখের বিয়োগান্তে ভাই হিসাবে সে ওয়ারিশ সুএে জমি পাওয়ার কথা।এমন লোভের বশবর্তী হয়ে জামাল চৌকিদার গং মাওলানা আবদুল মতিন শেখ এর বিয়োগান্তের পর মাওলানা নোমান এর উপর প্রবাব বিস্তার করে ৪ গন্ডা জমি জোর পূর্বক নিজেদের দখলে নেয়ার হীন চেষ্টা করেন। এতে স্থানীয় পর্যায়ে মাওলানা নোমান ও জামাল চৌকিদার গং  উবয়ের সম্মতিতে সালীশ বৈঠকের মাধ্যমে ফয়সালা  করতে গিয়ে জামাল চৌকিদার গং তৎকালীন সময়ে মাওলানা নোমান কে সালীশগনের সামনেই শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন এবং তাকে সহ তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি প্রদান করেন। এরইসুএ ধরে কেফায়াত উল্লাহ রায়হান হত্যা সংঘটিত হয়।এই রায়ান হত্যার ২৫ দিনের মাথায় জামাল চৌকিদার এর কলেজ পরুয়া মেয়ে সুফিয়া ( ১৯) কে রহস্য জনক ভাবে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে শশিভূষণ থানা পুলিশ। এই সুফিয়াকে হত্যা ও ধর্ষন করার অভিযোগ আনে মাওলানা নোমান এর দিকে জামাল চৌকিদার গং। কিন্তু এই এই হত্যার সন্দেহের তীরও জামাল চৌকিদার এর দিকেই আসে। চলবে,,,,,,,চোখ রাখুন ক্রাইম আওয়ার এ