ভোলায় নকল ঔষধের সয়লাব ফার্মেসীতে নেই ড্রাগ লাইসেন্স
মিজানুর রহমানশল শাহীন ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার অধিকাংশ ফার্মিসীতে কোন ড্রাগ লাইসেন্স নেই বিক্রি হচ্ছে নকল ঔষধ প্রতারিত…
মিজানুর রহমানশল শাহীন ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার অধিকাংশ ফার্মিসীতে কোন ড্রাগ লাইসেন্স নেই বিক্রি হচ্ছে নকল ঔষধ প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ক্রাইম আওয়ার এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। ভোলার বোরহানউদ্দিন সদরে কয়েকটি ফার্মিসীতে অনুসন্ধান করে দেখা যায় সদর রোড এ অবস্থিত আরজু মেডিক্যাল হল, সৈয়দ মেডিক্যাল হল, পপুলার মেডিক্যাল হল সহ একাদিক ফার্মেসীতে রয়েছে নকল ও আন রেজিস্টার্ড ঔষধ যাহা সেবনে রোগীর রোগ ভালো হওয়াতো দুরের কথা বরং রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনাই বেশী। কারন মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই তৈরি হচ্ছে এসব নকল ঔষধ। আর মফস্বল এর সহজ সরল মানুষ এসব নকল ও ভেজাল ঔষধ খেয়ে তাদের লিভার, কিডনি, ও ফুসফুস সহ আক্রান্ত হচ্ছে মরনব্যাধী ক্যান্সারে। কেবল বোরহানউদ্দিন এ ই নকলের এই মহোৎসব চলছে এমন নয় লালমোহন ও চরফ্যাশন সহ একে বারে গ্রাম গঞ্জে নকল ঔষধ বিক্রয়কারীরা পৌঁছে দিচ্ছে এসব আন রেজিস্টার্ড ঔষধ। এসব নকল ঔষধ বিক্রয় করছে বিভিন্ন হকাররা। এরা ঢাকার মিটফোর্ড সহ বিভিন্ন মাধ্যমে এসব নকল ঔষধ সংগ্রহ করে মফস্বল এ ফার্মসী দোকানদারদের কাছে কম মুল্যে বিক্রি করে। আর অসাধু ফার্মেসী ব্যাবসায়ীরা জেনে শুনেই অতিরিক্ত লাভের আশায় এসব নকল ঔষধ বিক্রি করে।এমন কি এই নকল ঔষধ বিক্রয়কারী হকারদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আবার নকল ঔষধ এর অর্ডার করে বলে একটি সুএে জানাগেছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে লালমোহন এর কয়েকটি পাইকারী হোলসেল দোকানে বিক্রি হচ্ছে নকল ঔষধ। লালমোহন এর নুরানি খুশবু হাউজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে নকল ঔষধ। এই প্রতিষ্টানে আরো দুই /তিন বসর পূর্বে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও আবারো তৈরি করছে নকল ঔষধ। এছাড়া ও চরফ্যাশন এর কয়েকটি নাম সর্বস্ব নকল ঔষধ কোম্পানি রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে রশ্মি ক্যামিক্যাল,এফসন্স ফার্মা, জনসেবা ঔসধালয়, চট্টগ্রাম ল্যাবরেটরীজ।সরকারী কোন অনুমোদন না থাকলেও চরফ্যাশন এর অধিকাংশ ফার্মেসীতে পাওয়া যাচ্ছে এসব কোম্পানির ঔষধ। এ ব্যাপারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর ড্রাগ সুপার ইফরাহিম ইকবাল চৌধুরীর মুঠোফোনে (আজ শনিবার ৬ নভেম্বর) একাধিকবার ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সচেতন মহলের দাবী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এসব ভুঁইপোর নকল ঔষধ বিক্রয়কারী ও নকল ঔষধ প্রস্তুতকারীদের নির্মূল করা সম্ভব হবে অন্যথায় এই জেলার জন সাস্হ্য হুমকির মুখে পতিত হবে।