শশীভুষণে আলম বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় বিধবা’র বাড়িঘর ভাংচুর।ক্রাইম আওয়ার
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি: চরফ্যাশনের শশীভূষনে আলম বাহিনীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় বিধবা’র বাড়িঘরে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শশিভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়ন…
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি: চরফ্যাশনের শশীভূষনে আলম বাহিনীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় বিধবা’র বাড়িঘরে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শশিভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রভাষক নুরনবীর স্ত্রী ভূক্তভোগী ফরিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসী আলমগীর ওরফে আলম বাহিনীর নেতৃত্বে তাঁর ভাই শাহাবুদ্দিনসহ আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ ১লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও ৫ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে। লুটপাট শেষে হামলাকারী সন্ত্রাসী বাহিনী হামার ও লোহার রড এবং শাবল দিয়ে আমার ঘর ভাংচুরসহ বারান্দার সিড়িঁ ঢেলাঞ্চি ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। ভূক্তভোগী ফরিদা অভিযোগ করে আরও বলেন,সন্ত্রাসী আলম ও শাহাবুদ্দিন দির্ঘদিন ধরে আমার কাছ থেকে ২০লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। আমার স্বামী নুরনবী ১০লাখ টাকা দিয়ে খায়ের মুন্সি বাড়িতে একটি বসতঘরসহ ১০শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে থাকলেও আমাদের ওই বসতবাড়ি থেকে বেদখল করতে বিভিন্নভাবে অত্যাচার জুলুম ও নির্যাতন করছে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। একাধীক সালিস বিচার হলেও আলম গং ফয়সালায় আসেনি। তিনি আরও জানান, আলম স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে একাধীকবার নির্বাচন করেও পরাজিত হয় তবে সে ও তাঁর ভাই সাহাবুদ্দিন এলাকায় ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে আমাদের ঘরের দরজার সামনে প্রায় প্রতিদিন মলমূত্র ত্যাগ করে আমাদের উপর অত্যাচার করছে। জানা যায়,গত শুক্রবার (৪জুন) বিকাল সাড়ে ৩টার সময় ফরিদা তাঁর বাবার বাড়ি যাওয়ায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ফরিদার ঘরে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ফরিদার অভিযোগ ভাংচুরের সময় প্রতিবেশিরা বাঁধা দিলে মরিয়ম (২৬),রুবেল (২৩),সাজেদা (৪০) ও আয়শা বেগম (৮৫) কে মারধর করে আহত করে। ফরিদার প্রতিবেশি মরিয়ম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের একটি রেন্ট্রি গাছের শুকনো ডাল ভেঙ্গে পড়লে আমার ভাই রুবেল তা আনতে যায়। শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী সুরমা তা নিতে বাঁধা দেয়। এসময় আমার ভাই রুবেলের সঙ্গে সুরমার বাকবিতন্ডা হলে আলম,শাহাবুদ্দিন,জিসান,রাজিব,হনুফা,নুপুর,রুনুসহ অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন একত্রিত হয়ে লহার রড,ধারালো দেশিও অস্ত্রসহ শাবল ,হামার দিয়ে আমাদের ঘর ভাংচুর করে পুরো ঘরটি ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। এসময় আমরা সন্ত্রাসীদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রতিবেশিদের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই। মরিয়ম আরও বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পরে শ্বশুর পরিবারের দেয়া গচ্ছিত ২লাখ টাকা ও ৫ভরি স্বর্ণালঙ্কারস ঘরের আসবাবপত্র সন্ত্রাসী আলমের নেতৃত্বে ঘন্টা ব্যপী তান্ডব চালিয়ে লুটপাট করে নিয়ে যায়। স্থানীয় একাধীক এলাকাবাসী জানান, আলম বাহিনীর প্রধাণ আলমগীর হোসেন ওরফে আলম শশিভূষণ বাজারে স্টুডিও ব্যবসার আড়ালে এসব অপকর্ম করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক বাসিন্দা জানান,নারীদের উপর অত্যাচার নির্যাতন যেন তাঁর পেশায় পরিনত হয়েছে। প্রতিবেশি মরিয়মদেরকে বাড়ি থেকে যেন বেব হতে না পাড়ে এজন্য মরিয়মদের বাড়ির দরজা টয়লেট ও হাঁসমুরগির খোপ স্থাপনসহ টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে দেয় শাহাবুদ্দিন ও আলম গং। আলম ও তাঁর পরিবারের লোকজন হামলা ও ভাংচুরের কথা স্বিকার করে বলেন,মরিয়মের ভাই রুবেল তাদের শুকনো গাছের ডাল নিতে আসলে শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী তাঁ না দিতে চাইলে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় রুবেল আমাদের ঘরে হামলা করলে আমারও তাদের বাড়িঘরে হামলা করি। তবে এ হামলার সঙ্গে ফরিদার ঘর ভাংচুর ও টাকা পয়সা লুটপাটের ঘটনা অস্বিকার করেন আলম। রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ভূক্তভোগীদের বাড়িতে সরেজমিন গিয়ে পরিদর্শন করেছি। আলম ও শাহাবুদ্দিন গংদের সঙ্গে প্রতিবেশি মরিয়মদের জমি সংক্রান্ত একটি বিরোধ থাকায় গাছের শুকনো ভাঙ্গা ডাল আনার মতো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটেছে। তবে আলম গং শালিশ ফয়সালা অমান্যকারী। আলমকে একাধীকবার বলা সত্যেও স্টাম্পে সাইন দিয়ে সে শালিশ ফয়সালায় বসতে নারাজ। শশিভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। দুই দিন পরে বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে একটি শালিশ হবে।