বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা বইতে স্বাক্ষর
চরফ্যাশন প্রতিনিধি:ভোলার চরফ্যাশনে গোলদার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তফা মামুনের বিরুদ্ধে স্কুলে না গিয়েও শিক্ষক হাজিরা বহিতে স্বাক্ষর…
চরফ্যাশন প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশনে গোলদার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তফা মামুনের বিরুদ্ধে স্কুলে না গিয়েও শিক্ষক হাজিরা বহিতে স্বাক্ষর করার অভিযোগ করেন ঐ প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষকরা। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষক এ-সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গতকাল রোববার গোলদার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গেলে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) মো. আবদুর সালামসহ একাধিক শিক্ষক জানান,
গত ৫ আগষ্ট সাবেক সরকার প্রধান পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তফা মামুনকে প্রতিষ্ঠানে দেখা যায়নি। কিন্তু হটাৎ করে প্রধান শিক্ষককে সহযোগীতায় হাজিরা বহিতে অবৈধ প্রক্রিয়ায় স্বাক্ষর করেন। তিনি আরও বলেন, সকল সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলম স্যারের কাছে জানতে চেয়েছি স্কুলে না এসে কি করে স্বাক্ষর করলো ঐ শিক্ষক, তিনি কোন উত্তর দেননি।
শিক্ষকরা জানান,সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তফা মামুনকে আওয়ামী লীগের অপশক্তি ব্যবহার করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই সে সরকার পতনের পর প্রতিষ্ঠানে পা রাখেনি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফা মামুন এ-সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাকে বিতাড়িত করতে চায় শিক্ষকদের একটি অংশ। সরকার পতনের পর থেকে তাদের অব্যহত হুমকিতে কিছুটা আতঙ্কিত হলেও নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হাজিরা দেই এবং সুযোগ পেলে ক্লাসেও সময় দেই।
এ-সব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো.মাসুদ আলম জানান, সরকার পতনের পর কিছু শিক্ষক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.মহিউদ্দিন বলেন, অনিয়মের অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।