চরফ্যাশন হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে।
ওমর ফারুক চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ- দ্বীপজেলা ভোলার চরফ্যাশন হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য দিনদিন বেড়েই চলেছে নিয়ন্ত্রণ করা যায়না ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর কারনে। আজ…
ওমর ফারুক চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ- দ্বীপজেলা ভোলার চরফ্যাশন হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য দিনদিন বেড়েই চলেছে নিয়ন্ত্রণ করা যায়না ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর কারনে। আজ ২মে রোজ রবিবার চেয়ারম্যান বাজার থেকে সকাল এগারোটার সময় অসুস্থ মাকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন সদ্য হাফেজ হওয়া মাদ্রাসা ছাএ মোঃ আশিক। এই ছাএের বাবা মারা গেছেন আজথেকে ১২ বসর আগে। অভাব অনটনের সংসারে কোনরকম নামে মাএ চাকুরি করে বড় ভাই সিহাব পড়াশোনার পাশাপাশি একটি মোবাইল কোম্পানিতে ডেলিভারিম্যান হিসাবে চাকুরী করে সংসারের খরচ যোগান দেয়।এভাবেই চলছে এই অসহায় পরিবারটি।গত কয়েক দিন হাফেজ ছেলেটির মা সালমা বেগম (৪২) জ্বরে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে পড়ে আছে দেখার কেউ নেই, ছেলেটি কর্তারহাট জামে মসজিদে এ বসর তারাবীহ নামাজ পরায় বলে জানা গেছে।সেখানথেকে বাড়ীতে এসে তার মাকে নিয়ে চরফ্যাশন হাসপাতালে সরকারিভাবে টিকেট কেটে ডাক্তার হাসান মাহামুদকে দেখান সকাল ১১টার সময়। ডাক্তার কিছু টেস্ট দিয়েছেন, ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়া মাএই হাতথেকে পেসক্রিপশন টেনে নিয়েযান সুন্দর চশমা পরিহিত মায়াবী চেহারার এক ছেলে (পএিকায় ছবি দেয়া, দালাল)।তারপর সে জানায় এই টেস্ট গুলো এই হাসপাতালে হয়না তাই সুন্দরভাবে কৌশল করে নিয়ে আশে চরফ্যশন আলমদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে বিল হয় ৭০০/- সাতশত টাকা বিল পে করে ছাএটি, তার কাছে আর কোন টাকা নেই। ঔষধ কেনার টাকাও নেই। এরই মধ্যে ঐ সুন্দর চেহার ছেলেটি (দালাল) মাদ্রাসা ছাএ আশিকের কাছে দাবী করে ডাক্তারের ফি দিতে হবে চারশো টাকা। আশিক জানায় তার কাছে কোন টাকা নেই আর হাসপাতালে ডাক্তার দেখালে তো টাকা লাগেনা। নাছোরবান্দা দালাল টাকা দেওয়াই লাগবে না হয় অনেক সমস্যা হবে বলে জানান আশিক কে।পরে বিপদে পরে সে তার বড় বোনকে বিষয়টি জানায় তার বোন তার হাজবেন্টকে জানালে সে একজন সাংবাদিককে নিয়েযান ঐ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। গিয়ে ঘটনার সত্যতা খুজে পায় সাংবাদিক। এরপরে মাপ চায় দালাল ছেলেটি এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিকও নামে মাএ বকাঝকা করেন সেই দালাল ছেলে সবুজকে। খোঁজনিয়ে জনাগেছে সবুজের বাড়ি ভোলায় সে আলমদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকুরি করে অর্থাৎ দালাল হিসাবে হাসপাতালে কোন রোগী চিকিৎসা নিতে আসলেই তাদের কে কৌশলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসাই তার কাজ।এরকম ২০/২৫ জন দালাল রয়েছে চরফ্যাশন হাসপাতালে। এভাবে দালাল চক্রের হাতে পরে নিঃস্ব হয়ে চিকিৎসা ছাড়া চলে যেতে হয় অনেক গরীব দুঃখী ও অসহায় মানুষকে। এ ব্যাপরে ডাক্তার মাহামুদুল হাসান বলেন এরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন খেয়ে এই কাজগুলো করে অথচ এই টেস্ট গুলো হাসপাতালেই করা যেত রোগিদের ও একটু সচেতন হওয়া দরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রুহুল আমীন সাহেব বলেন গতকাল ও একজনের ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। যে সমস্ত টেস্ট হাসপাতালে হয় সেগুলো হাসপাতালে কারাবে আর যেগুলো হাসপাতালে হয়না সেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করাবে তা হলে আর প্রতারিত হওয়ার সম্ভবাভনা থাকবেনা।