চরফ্যাশনে হোমিও দোকানে নকল ঔষধের সয়লাব।
ভোলা প্রতিনিধিঃ- ঔষধ শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম সফল এবং প্রযুক্তিগতভাবে অগ্রগামী একটি খাত।এই শিল্প দেশের জন্য এখন গর্বের প্রতিক। আমাদের দেশে…
ভোলা প্রতিনিধিঃ- ঔষধ শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম সফল এবং প্রযুক্তিগতভাবে অগ্রগামী একটি খাত।এই শিল্প দেশের জন্য এখন গর্বের প্রতিক। আমাদের দেশে এখন অনেক উন্নতমানের ও উচ্চ প্রযুক্তির ঔষধ তৈরী হচ্ছে। দেশের জনগনের সু-সাস্থ্যের জন্য চিকিৎসা ও গুনগত মানসম্মত ঔষধের কোন বিকল্প নেই। আমাদের দেশে এখন অনেক উন্নতমানের ঔষধ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সব কিছু এখানেই শেষ নয় কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী সময়ের সাথেসাথে এই খাতকে কলংকিত করছে নকল ও ভেজাল ঔষধ তৈরী ও বিক্রি করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মত ভোলার চরফ্যাশনেও বিক্রি হচ্ছে হোমিও দোকান গুলোয় এসব নকল ঔষধ।চরফ্যাশন সদরের মনোয়ারা হোমিও হল,মডার্ন হোমিও হল, তামিম সালসা ঘর,রৌশন হোমিও হল সহ অধিকাংশ হোমিও দোকান গুলোয় ঘুরে দেখাযায় নকল,ভেজাল ও আন রেজিস্টার্ড ঔষধ রয়েছে প্রচুর পরিমানে।অধিকাংশ সময় এলোপ্যাথিক দোকান গুলোয় নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হলেও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায় হোমিওপ্যাথী ও কবিরাজী দোকানগুলি আর এ সুযোগটিই তারা গ্রহন করে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে আছে অক্টোপাসের মত।গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে আনরেজিষ্টার ঔষধ। ঔষধ প্রশাসনের অনঅনুমোদিত এসব ঔষধ সেবন করে ইতোমধ্যে অনেক লোক অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ও ঘটেছে। এসব হোমিওপ্যাথি ও কবিরাজী দোকানগুলোর চিকিৎসকদের অনেকেরই সার্টিফিকেট নেই। ড্রাগ লাইসেন্সও নেই অনেক দোকানের। খবর নিয়ে জানাজায় স্হানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা এইসব নকল ও ভেজাল ঔষধ বিক্রয় করছে। এক সাক্ষাৎকারে সাস্হ্যমন্রী জাহিদ মালেক কঠোর হুঁশিয়ারিতে বলেছেন চিকিৎসার মান নিয়ে সরকার কোন আপস করবেনা।চিকিৎসা সেবা জনগনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ও অপরিহার্য বিষয়। নকল- ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ জনসাসাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরুপ। প্রথম পর্বের নিউজের সময় এ ব্যাপারে বিভাগীয় ঔষধ তত্ত্বাবোধায়কের বক্তব্য নিতে না পারায় এবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান এর সাথে বি ক্যাঃ প্রশ্নে নকল ঔষধ যারা তৈরি করছে এবং সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং যারা বিক্রি করছে তাদের জন্য শাস্তির বিধান কেমন ? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আমাদের কার্যালয় থেকে প্রতিদিন সারাদেশে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সবকয়টি শাখা থেকেই অভিযান পরিচালিত হয়। নকল ও নিম্নমানের ঔষধ যারা তৈরি করছে এবং যারা বিক্রি করছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আরো কিছু নীতি মালা প্রনয়ণ করবে – যা বাস্তবায়ন করলে আমাদের প্রশাসন আরো গতিশীল হবে। চলবে…………………চোখরাখুন ক্রাইম আওয়ারে।